রাজশাহীতে বেনামি এনজিও’র ফরম বিক্রি,নারীদের থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এক স্কুল কর্মচারী।
রনি আহম্মদ:
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোয়াবাসিনী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার সহযোগী কলেজছাত্রকে আটক করা হয়েছে।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মজিবুরকে প্রতারণার দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ তবে ,তার সহযোগী কলেজছাত্রকে ছেড়ে দেয়া হয়।দণ্ডপ্রাপ্ত কাওসার রাজশাহীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা।তিনি ওই এলাকায় অবস্থিত শহীদ জিয়াউর রহমান হাইস্কুলের অফিস সহকারী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ বলেন,‘ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী তাকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করা কলেজছাত্রকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান,প্রতারক মজিবুর রহমান প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভুয়া গাইবান্ধার ‘বাদিয়াখালী দুস্থ মাতা মহিলা সমিতি’র নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে গ্রামের নারীদেরকে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ‘ফরম বাণিজ্য’ করে আসছিল। কমপক্ষে ২০০ নারী তার ফাঁদে পড়ে এক হাজার টাকা দিয়ে ফরম কিনেছেন। মজিবুরের কাছ থেকে আরও ৫০০টি ফাঁকা ফরম জব্দ করা হয়েছে।ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন,এনজিওকর্মী না হয়েও মজিবুর কাটাখালীর গোয়াবাসিনা গ্রামের নারীদের কাছে গাইবান্ধার একটি বেনামি এনজিও’র ফরম বিক্রি করেন।সুদবিহীন ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০ নারীর কাছে এক হাজার টাকা করে নেন।এছাড়াও তিনি করোনাকালীন সময়ে নারীদেরকে বিশেষ সুবিধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেয়ার কথা বলেন।এতে সমিতিতে যোগ দিতে হিড়িক পড়ে।তবে সমিতির সদস্য হওয়ার পরও কেউ-ই তার কাছ থেকে ঋণ পাননি।